Skip to content
  সোমবার ১৬ জুন ২০২৫
সাম্প্রতিক খবর
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • অর্থনীতি
  • খেলা
  • বিনোদন
  • সারাদেশ
  • স্বাস্থ্য
  • সাহিত্য
    • কবিতা
  • ডাউনলোড এন্ড্রয়েড অ্যাপ
সাম্প্রতিক খবর
সাম্প্রতিক খবর
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • অর্থনীতি
  • খেলা
  • বিনোদন
  • সারাদেশ
  • স্বাস্থ্য
  • সাহিত্য
    • কবিতা
  • ডাউনলোড এন্ড্রয়েড অ্যাপ
সাম্প্রতিক খবর
  কলাম  মন বিকাশে খেলাধুলা
কলাম

মন বিকাশে খেলাধুলা

কাজী মাহমুদুর রহমানকাজী মাহমুদুর রহমান—February 22, 20240
FacebookTwitterPinterestLinkedInTumblrRedditVKWhatsAppEmail

খেলাধুলা শব্দটি আমাদের অতি পরিচিত ও খুব প্রিয় একটি শব্দ। সকল শিশুই খেলতে পছন্দ করে। খেলাধুলাকে আমরা কখনও গেম বা প্লে বলে থাকি। খেলাধুলা আসলে কী? খেলাধুলা হলো এক ধরনের আচরণ যা সম্পন্ন করলে আনন্দ পাওয়া যায়, নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়, আনন্দের মধ্যে কিছু সময় অতিবাহিত হয়। এক সময় আমাদের দেশের শহরসহ সকল অঞ্চলে খেলাধুলার ব্যাপক প্রচলন ছিল। খেলাধুলা করে অর্থগতভাবে সরাসরি লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা কম বিধায় আমাদের অভিভাবকরা খেলাধুলার প্রতি অবজ্ঞা করতে শুরু করেন। ফলে খেলাধুলার সুযোগ ও সুবিধাগুলো ধীরে ধীরে বন্ধ হতে থাকে। বিগত দশকগুলোতে একের পর এক মাঠ বন্ধ করা হয়েছে। ইদানীং অভিভাবকদের মনোভাব পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। এক সময় বাবা-মায়েরা শিশুর খেলাধুলা বন্ধ করার জন্য একের পর এক গৃহশিক্ষক দিয়ে শিশুদের ব্যতিব্যস্ত রাখত। যাতে তারা খেলাধুলা করার মতো সময় না পায়। যুগের হাওয়া বদলে গেছে। এখন বাবা-মায়েরা শিশুদের খেলাধুলার প্রতি উৎসাহ দেন। এমনকি খেলাধুলার জন্য শিশুকে ক্লাবে ভর্তি করেন। আধুনিক মনোবিজ্ঞানীদের গবেষণা থেকে আজ সকল অভিভাবক উপলব্ধি করতে পারছেন শিশুর বিকাশে খেলাধুলার গুরুত্ব¡ অপরিসীম। ফ্রয়েডিয়ান মনঃসমীক্ষণ মতে, খেলাধুলা হলো জ্ঞান ও বুদ্ধি বিকাশের সহায়ক।

খেলাধুলা মানেই শুধু ফুটবল বা ক্রিকেট নয়। খেলাধুলা অনেক কিছুই হতে পারে। আমাদের দেশে যেসব খেলা প্রচলিত রয়েছে তা হলো- ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, বাস্কেটবল, বেসবল, দোলনা, দাঁড়িয়াবান্ধা, মারবেল, লুডু, দাবা,  গোল্লাছুট, কানামাছি, বৌ-চুরি প্রভৃতি। খেলাধুলাকে সাধারণত ইনডোর ও আউটডোর এ দু‘ভাগে ভাগ করা হয়। এছাড়া অনেকে খেলাধুলাকে নিজে-খেলা  অর্থাৎ সেল্ফ-প্লে ও দলবদ্ধ খেলা ভাগে ভাগ করেন। বিশেষজ্ঞের মতে, দলবব্ধ খেলাধুলার গুরুত্ব অধিক। আবার অনেকে খেলাধুলাকে কাল্পনিক খেলা ও বাস্তব সমস্যা সমাধান খেলা এ দু‘ভাগে ভাগ করার মনোভাব পোষণ করেন। অটিস্টিক শিশুরা কাল্পনিক খেলা খেলতে পারে না। তাই তাদের জন্য বাস্তব খেলাধুলার আয়োজন করা অপেক্ষাকৃতভাবে ফলপ্রসূ হয়। অটিস্টিক শিশুরা কাল্পনিক খেলা খেলতে পারে না।

খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুদের বিকাশ সাবলীল ও সুষম হয়। শারীরিক বিকাশ ও শারীরিক ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজন হয় নিয়মিত ব্যায়াম। কিন্তÍু অধিকাংশ সময় ব্যায়াম হয়ে উঠে একঘেয়েমি। তাই বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ শারীরিক ফিটনেসের জন্য বেছে নিয়েছে খেলাধুলা। যা মন ও শরীর দুটোকেই রাখে সতেজ ও সাবলীল। কারণ খেলাধুলায় সবগুলো মানসিক উপাদান সক্রিয় হয়।

খেলাধুলার একটা অংশ হলো কল্পনা। কল্পনার সাথে জড়িত রয়েছে আত্মনিয়ন্ত্রণ, বাস্তবসম্মত-আকাক্সক্ষা ও নম্রতা। কল্পনাপ্রবণ খেলার ফলে শিশুরা সহযোগিতা, অংশগ্রহণ, অন্যকে ভাগ দেওয়া, আত্মনির্ভরতা, সামাজিক গুণাবলি প্রভৃতি অর্জন করে। বলাবাহুল্য, যেসব শিশু খেলাধুলার মধ্যে কল্পনার আশ্রয় নেয় তারা অধিকতর পজেটিভ আবেগবান হয়। যা পরবর্তী জীবনে আবেগ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হয়। আবেগ নিয়ন্ত্রণ উন্নয়নের অন্যতম সহায়ক।

খেলাধুলা বিপজ্জনক নয় অথচ নতুন কিছু আবিষ্কার ও শেখার একটি বিশেষ উপায়। শিশুরা যখন কোনো অভিনয়জাতীয় খেলাধুলা করে তখন তাদেরকে বেশ কঠিন কঠিন ভূমিকায় অভিনয় করতে হয়। এসব কঠিন অভিনয় করার মধ্যে চরম হারজিত নেই। বাস্তব জীবনে কোনো দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যদি কোনো ব্যক্তি সফলতা না পায় তাহলে সেক্ষেত্রে ব্যক্তির আর্থিক, সামাজিক বা মানসম্মান প্রভৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তÍু খেলাধুলার মাধ্যমে একই ধরনের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিফল হলে তাতে কোনো প্রকার লোকসানের সম্ভাবনা নেই; বরং শিশুরা বিভিন্ন ভূমিকায় অভিনয় করে নিজের মনের আনন্দে সঠিক আচরণের সাথে পরিচিতি লাভ করে। এগুলো সবই ঘটে ভয় ও বিপদ সংকুলমুক্ত ও নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে। আমাদের দেশে প্রচলিত খেলাধুলার মধ্যে রয়েছে পুতুল খেলা, চড়–ইভাতি প্রভৃতি। এ দুটো খেলাতে শিশুরা নিজেরাই পরিকল্পনা করে, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ও বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন ভূমিকা পালন করে ও পাশাপাশি বাস্তবায়নের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে। শিশুরা চড়–ইভাতি খেলতে গিয়ে সে যেসব ভূমিকা পালন করে, পরবর্তী জীবনে তাকে একই রকম ভূমিকা পালন করতে হয়। অতএব খেলাধুলা পরবর্তী প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের জন্য এক ধরনের রিহার্সেল।

সুস্থ মানসিক বিকাশের জন্য প্রয়োজন হয় খেলাধুলা। আমরা প্রত্যেকেই জীবনের কোনো না কোনো সময় মনের কষ্টে ভুগেছি। এসব কষ্টকে সহ্য করার ক্ষমতা তৈরি করে খেলাধুলা। প্রত্যেক মানুষের ইচ্ছে প্রকাশের স্বাধীনতা বা চয়েস-অব-ফ্রিডম হলো অন্যতম মৌলিক চাহিদা। এ চাহিদার ঘাটতি হলে শিশুরা মানসিকভাবে স্বাভাবিক বা সুস্থ থাকে না। বর্তমান প্রতিযোগিতার যুগে  অভিভাবক ও শিক্ষকদের বিভিন্ন রুটিনের চাপে শিশুরা এত ব্যস্ত থাকে যে, তাদের এ চাহিদা কোনোভাবে পূরণ হয় না। খেলাধুলা একমাত্র মাধ্যম যেখানে শিশুরা তাদের ইচ্ছে-প্রকাশের চাহিদা পূরণ করতে পারে।

More stories

সন্তানের মানসিক ট্রমা ও চিকিৎসা

April 30, 2025

হান্ডিংটন সাহেব আর তার চেলারা

March 19, 2025

বর্তমান আওয়ামী সরকার কি কাগুজে বাঘ?

July 27, 2024

কমরেড হায়দার আকবর খান রনো’র মৃত্যুতে জনাব ফরহাদ মজহারের মায়া কান্না  

May 25, 2024

শিশুরা যখন খেলতে থাকে তখন হার ও জিত দুটো ফলাফলের সম্মুখীন হতে হয়। হেরে যাওয়ার ফলে তারা কখনও বিষণœ হয়ে পড়ে। জেতার ফলে তারা আনন্দে চঞ্চল হয়ে উঠে। বিষণœতাকে কীভাবে সামলানো যায় তা তারা ছোট বেলাতেই খেলার মাধ্যমে শিখতে শুরু করে। জিতে গেলে জেতার আনন্দ কীভাবে পজিটিভ উপায়ে উপভোগ করা যায় তাও তারা ছোটবেলা থেকে খেলার মাধ্যমে শিখে।

প্রতিটি খেলার শুরুতে প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়। প্রস্তুতি নেওয়ার ও খেলা শুরুর প্রাক্কালে টেনশন বা উদ্বিগ্নতা কাজ করে। যেসব শিশু প্রতিনিয়ত খেলাধুলা করে তারা এ ধরনের টেনশন বা উদ্বিগ্নতায় ভোগে না বা টেনশনকে মানিয়ে চলতে পারে। অর্থাৎ টেনশনকে সহজে জয় করতে পারে। যেসব শিশু খেলাধুলার টেনশনকে জয় করতে পারে তারা প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে যেকোনো নতুন কাজ টেনশনমুক্ত সহজে শুরু করতে পারে।

প্রায় প্রত্যেক খেলাতে নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণ থাকে। নেতৃত্ব বা অংশগ্রহণ করতে গিয়ে শিশুর মধ্যে নেতিবাচক আবেগ দেখা দিতে পারে। নেতিবাচক আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে ইতিবাচক আবেগে নিজেকে প্রকাশ করার ক্ষমতা শিশুরা খেলাধুলার মাধ্যমে শিখে। ফলে যে শিশু খেলাধুলা করে তারা তাদের কর্মময় জীবনে সহজে নেতৃত্ব দিতে পারে বা যেকোনো দলে সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারে।

জ্ঞান বিকাশে খেলাধুলার গুরুত্ব ব্যাপক। খেলাধুলাবিষয়ক গবেষকরা বলেন, খেলাধুলা উদ্দীপনাময় ও আনন্দময়। খেলাধুলা প্রত্যেকের নিকট আত্মতৃপ্তিদায়ক ও অনুসন্ধানমূলক। অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিশুরা নতুন নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করে। খেলাধুলা পরিবেশের বিভিন্ন বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও নিয়ম-কানুন সম্বন্ধে কৌতূহল নিবৃত্ত হয়।

নতুন তথ্য অর্জন মানুষের আদিম মৌলিক চাহিদা। এ চাহিদা শিশুরা একমাত্র খেলার মাধ্যমে সহজে পূরণ করতে পারে। জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রয়োজন হয় আগ্রহ। প্রবাদে বলা হয়, ‘হাউসে (আগ্রহ) বিদ্যা, কৃপণে ধন।’ অর্থাৎ যার আগ্রহ আছে সেই বিদ্যা অর্জন করতে পারে। খেলাধুলা শিশুর ভেতর তথ্য সংগ্রহের আগ্রহ তৈরি করে। এছাড়া শিশুর জ্ঞানের মাত্রা বৃদ্ধিতে খেলাধুলা টনিকের মতো কাজ করে।

মানুষ সামাজিক জীব। আমরা শিশুদের যা কিছু শেখাই তার মূল উদ্দেশ্য হলো শিশুর সামাজিকতার বিকাশ। অর্থাৎ মানুষের মতো মানুষ হওয়া। শিশুর প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে শান্তি ও সুখ আসে তার সামাজিক বিকাশের মাধ্যমে। যে শিশু যত বেশি সামাজিক তার সুখ তত বেশি। অর্থ দিয়েই সব হয় না। সামাজিকতার জন্য প্রয়োজন শিশুর ভেতর উপযোজন ও অভিযোজন (খাপখাওয়ানো) ক্ষমতা। এ দুটো দক্ষতা বৃদ্ধিতে খেলাধুলা ব্যতীত কোনো বিকল্প পদ্ধতি নেই। খেলতে এসে শিশুদের টিমলিডারের কথা শুনতে হয়। পাশাপাশি লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য খেলার সাথিদের সাথে নিয়ম মেনে চলতে হয়। এ আচরণগুলো শিশুকে সামাজিকতার দিকে নিয়ে যায়।

সমস্যা মোকাবিলা করার দক্ষতা বৃদ্ধিতেও খেলাধুলার জুড়ি নেই। অনেক অভিভাবক শিশুদের বই আর টেলিভিশন দিয়ে খেলার সময়গুলোকে হত্যা করেন। আবার কেউ কেউ হয়ত ঘরে ভিডিও গেম দিয়ে সন্তানকে সেল্ফ-গেম-এ অভ্যস্ত করেন। এগুলো মোটেও  ভালো ফল দেয় না। খেলাধুলার মধ্যে দলবদ্ধ খেলাধুলা করা সবচেয়ে উত্তম ও সামাজিকতা বিকাশের শক্তিশালী উপায়। রবার্ট ও বায়ার্ড ১৯৭১ সালে গবেষণালব্ধ এক মজার ফলাফল প্রকাশ করেন। তারা কয়েক ধরনের খেলাধুলাকে বেছে নেন। যেমন- টেলিভিশন দেখা, বই পড়া, বন্ধুর সাথে খেলা ও সেল্ফ-গেম প্রভৃতি। এসব খেলাধুলার মধ্যে, বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করার মাধ্যমে শিশুরা সবচেয়ে বেশি সামাজিক দক্ষতা অর্জন করে। অতএব সামাজিক জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজন সমাজবদ্ধ হয়ে চলার গুণাবলি যা শুধু খেলাধুলার মাধ্যমে সহজে অর্জন করা সম্ভব। কোনো ব্যক্তিকে সামাজিক বলার জন্য যেসব বৈশিষ্ট্য দিয়ে আমরা বিচার করি, সেগুলোর মধ্যে অন্যের প্রতি সহনশীল ও স্বেচ্ছাসেবক মনোভাব অন্যতম। খেলাধুলা শিশুর ভেতর সহনশীল ও স্বেচ্ছাসেবক মনোভাব তৈরি করে।

খেলাধুলা শিশুদের সৃজনশীল হতে সহায়তা করে। সৃজনশীল হলো সৃষ্টি, নির্মাণ, রচনা বা তৈরি করার দক্ষতা। যারা বাল্যকালে খেলাধুলা করে তারা যেকোনো সমস্যা সৃজনশীলতার গুণে সহজে সমাধান করতে পারে। একজন খেলোয়াড় কর্মজীবনে তুলনামূলকভাবে অন্যদের চাইতে বেশি গোছালো হয়।

আধুনিক যুগ হলো দলবদ্ধ হয়ে কাজ করার যুগ। যেকোনো কর্মস্থলের  পরিবেশ শান্তিময় ও প্রগতিশীল করার  জন্য টিম ওয়ার্ক প্রয়োজন। টিম ওয়ার্কে কাজ করলে যেকোনো কাজ সহজে সমাধান বা দ্রæত করা সম্ভব।  গবেষণায় দেখা যায় যেসব শিশু খেলাধুলা করে না তারা কোনো টিম ওয়ার্কে কাজ করতে পারে না। কারণ টিমে কাজ করার জন্য দুটো বৈশিষ্ট্য প্রয়োজন হয়- একটি হলো নেতৃত্বদান ও অপরটি হলো নেতৃত্বগ্রহণ (নেতার ছায়ায় কাজ করা বা দলে অংশগ্রহণ করা)। খেলাধুলা না করলে এ দুটো বৈশিষ্ট্যের কোনোটাই শিশুরা অর্জন করতে পারে না। দলীয়ভাবে অংশগ্রহণ করে জীবনযাপন না করতে পারলে কোনো মানুষই সুস্থভাবে জীবনযাপন করতে পারে না। তাইতো দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ভালো ভালো চাকরিতে চাকরি প্রার্থীর খেলাধুলার অভিজ্ঞতা কতটুকু তা যাচাই করা হয়।

শিক্ষকদের শিক্ষাদানের জন্য প্রায় ৪০-৪৫টি পদ্ধতি রয়েছে। এরমধ্যে শিশুদের জন্য যেসব পদ্ধতি রয়েছে তার অধিকাংশ খেলাধুলার মাধ্যমে বিদ্যা শিক্ষাদানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আজকে আমরা কিন্ডারগার্টেন বলে যে শিক্ষা পদ্ধতির সাথে পরিচিত তার মূল ভিত্তি হলো খেলাধুলা। কিন্ডারগার্টেন এর জনক  ফ্রয়েবেল বলেন ‘শিশুদের বিকাশ হবে খেলাধুলার মাধ্যমে।’ অথচ আমাদের দেশে আজ বই দিয়ে শিশুদের করা হচ্ছে এক প্রকার নির্যাতন। ফ্রয়েবেল যদি আমাদের দেশের বাঙালি কিন্ডারগার্টেন দেখতেন তাহলে কয়েকবার আত্মহত্যা করতেন। ফ্রয়েবেলের শিক্ষাগুরু মন্তেসরী তার শিক্ষা পদ্ধতিতে খেলাধুলাকে শিশুর বিকাশের প্রধান উপায় হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তথাকথিত ইংরেজি শিক্ষার নামে শিশুর স্বাভাবিক সামাজিকতার বিকাশ বা নৈতিকতার বিকাশ দিন দিন ব্যাহত করা হচ্ছে। ফলে, ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থীরা একধরনের খাপছাড়া ভাব নিয়ে বড় হয়ে উঠে।  তারা না হচ্ছে বাঙালি না হচ্ছে ইংলিশ। শুধু ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোর দিকে আঙুল তুললেই হবে না। অধিকাংশ স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে মাঠ নেই, খেলার ব্যবস্থা নেই। সেখানকার একটাই পদ্ধতি টাকা দাও, সনদ নাও। খেলাধুলাহীন বেড়ে উঠা শিশুদের ভয়াবহ নেতিবাচক পরিনতির প্রভাব আমরা উপলব্ধি করতে শুরু করেছি বেশ কয়েক যুগ আগেই। এ ধরনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে বাচার জন্য  বিষয়ে যথাযথ আইন থাকা প্রয়োজন। ইতিমধ্যে অন্তর্জাতিকভাবে রাইট টু প্লে বা খেলাধুলার অধিকার নিয়ে অনেক সংঘটক সোচ্চার হয়েছে। আমাদের দেশেও সহসা রাইট টু প্লে আইন পাশ হবে।

খবরখেলাধুলা
FacebookTwitterPinterestLinkedInTumblrRedditVKWhatsAppEmail

কাজী মাহমুদুর রহমান

ট্রান্সজেন্ডার কি কোনো মানসিক ব্যাধি?
হাতিরঝিল থানা শাখা, সিপিবির উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবস পালিত
Related posts
  • Related posts
  • More from author
কলাম

কন্ট্রকচুয়াল সার্ভিস কি দাস প্রথা

June 8, 20250
কলাম

সন্তানের মানসিক ট্রমা ও চিকিৎসা

April 30, 20250
কলাম

বর্তমান সময়ের আশংকা গুলি নির্মূলে কার্যকর রাজনীতি জরুরি

April 21, 20250
Load more
Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Read also
কলাম

কন্ট্রকচুয়াল সার্ভিস কি দাস প্রথা

June 8, 20250
জাতীয়

বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দের দাবিতে ক্ষেতমজুর সমিতির বিক্ষোভ সমাবেশ

May 30, 20250
কলাম

সন্তানের মানসিক ট্রমা ও চিকিৎসা

April 30, 20250
কলাম

বর্তমান সময়ের আশংকা গুলি নির্মূলে কার্যকর রাজনীতি জরুরি

April 21, 20250
আন্তর্জাতিক

ট্রাম্প, নয়া-ফ্যাসিবাদ ও বামপন্থা

March 26, 20250
কলাম

হান্ডিংটন সাহেব আর তার চেলারা

March 19, 20250
Load more

সম্প্রতি প্রকাশিত

  • কন্ট্রকচুয়াল সার্ভিস কি দাস প্রথা
  • বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দের দাবিতে ক্ষেতমজুর সমিতির বিক্ষোভ সমাবেশ
  • সন্তানের মানসিক ট্রমা ও চিকিৎসা
  • বর্তমান সময়ের আশংকা গুলি নির্মূলে কার্যকর রাজনীতি জরুরি
  • ট্রাম্প, নয়া-ফ্যাসিবাদ ও বামপন্থা

    # বিষয়

    সম্প্রতিখবরলিড১লিডমূলসিপিবিচীনবিএনপিফুটবলকাতার বিশ্বকাপবাম জোটরিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নছাত্রলীগমে দিবসমেট্রোরেলব্রিকসপ্রধানমন্ত্রীরাজনীতিঅ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসডিএমপি
    স্বত্ব: © সাম্প্রতিক
    • সাম্প্রতিক
    • নীতিমালা
    • যোগাযোগ
    • সাবস্ক্রাইব ইউটিউব চেনেল
    • ডাউনলোড এন্ড্রয়েড অ্যাপ