গতকাল প্রকাশিত বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম কলকাতার একটা বাংলা দৈনিক পত্রিকা ‘এই সময়’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে জামায়াতে ইসলামী বিএনপির কাছে ৩০টা আসন চেয়েছিলো। কিন্তু বিএনপি নেতৃত্ব উৎসাহ দেখাইনি। বিএনপি নেতৃত্ব অনেক কম একটা সংখ্যার কথা বলেছে যা তাদের মনঃপুত হয়নি।
বিএনপির দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বর্তমানে দলটির বর্তমান সময়ে একটি দূরত্ব তৈরী হয়েছে। ২০০১ এবং ২০০৮ এর জাতীয় নির্বাচনে দল দুটি জোট বেঁধে অংশগ্রহণ করলেও অভ্যুত্থান পরবর্তী কালে আওয়ামীলীগের অনুপস্থিতিতে তাদের মধ্যে রাজনৈতিক দূরত্ব ক্রমেই সুস্পষ্ট হচ্ছে। বিএনপি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী বলছে, নির্বাচন হতে হবে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব।
সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল আরো বলেন, জামায়াত যত বড় না শক্তি, আমরা অকারণে তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। পিআর-টিআর সবই বিএনপির ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল। জামায়াত কিন্তু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছে। আসলে দেশের প্রবল ভাবেই মানুষ নির্বাচন চাইছেন। সেনাবাহিনী চাইছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসও চাইছেন।
ফেব্রুয়ারিতেই ভোট হবে এমনটি জোর দিয়ে বলেন মির্জা ফখরুল। ‘আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতেই ভোট হবে। সংশয়ের কোনো জায়গা নেই। কোনও অশান্তি হবে না। মানুষ ভোটাধিকার ফেরত চাইছেন, নির্বাচন চাইছেন। উৎসবের মতো ভোট হবে ফেব্রুয়ারিতে।’
জামাতের পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি নিয়ে অনড় অবস্থান এবং এনসিপির প্রচলিত সংবিধান বাতিল করে আগে গণপরিষদের নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন জামায়াত ভোটে আসবে। পিআর–টিআর নয়, মানুষ যে পদ্ধতিতে ভোট বোঝেন, সেই প্রচলিত পদ্ধতিতেই হবে বাংলাদেশের ভোট। জামায়াতও দেখবেন অংশ নেবে। এটা ঠিক এই ছাত্ররাই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের বারুদে আগুনটা দিয়েছিল। এখন আর তাদের (এনসিপি) কিছু নেই।
শোনা যায়, এনসিপি নাকি আপনাদের কাছে আসন চেয়েছিল? এমন প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব বলেন, না। এনসিপি কখনো চায়নি। তবে জামায়াত চেয়েছে। এনসিপির এখন একমাত্র লক্ষ্য, বিএনপিকে সরকার গঠন করতে নাদেওয়া।